কবিতার সঙ্গে বন্ধুত্ব
অনেকদিনের - সেই ছোটোবেলা থেকে । সহজপাঠের কবিতার কথা দিয়ে আঁকা ছবি আর
আবোলতাবোলের ছড়ার মজাই বোধহয় প্রাথমিক অনুপ্রেরণা ছিল । বাবার DIY
করার
অভ্যাস ছিল । একবার রান্নার গ্যাসের আগুনে কাঁচের একটা নল গরম করে কিছু একটা করার
চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু আশানুরূপ
ফল হয়নি । সেই ঘটনাটা দু'লাইনে লিখেছিলাম,
গ্যাসের আগুনে কাঁচ গলে
গেল
অনেকটা গ্যাস নষ্ট হল ।
এটাই আমার স্মৃতিতে
প্রথম স্বরচিত কবিতা । কবিতারা এইরকম দু'চার লাইন করেই মাথায় আসে, কখনো লিখে রাখি, কখনো মনের মধ্যেই হারিয়ে
ফেলি । এইভাবেই চলে আসছে । ছোটোবেলা থেকে fast forward করে
কয়েকদিন আগে লেখা কয়েকটা কবিতার কুঁড়ি নীচে ছড়িয়ে দিলাম ।
সৃষ্টি
ক্লান্তি লাগে যদি
চিরাচরিতের
মাঝে ঘুরে মরি।
এসো প্রযুক্তিবিদ ও কবি,
নতুন একটা সৃষ্টি করি।
স্বীকারোক্তি
মহাকাব্য লেখার নেই সময়
ও ক্ষমতা
লিখি তাই কয়েক লাইনের
কবিতা ।
হয়তো সান্ত্বনা এইটুকু,
জীবনের বড় সত্যগুলো
আকারে অকিঞ্চিতকর হাইকু ।
সত্যান্বেষী
অনেকদিন ধরে খুঁজছি সত্যকে -
না, সত্যানন্দ, সত্যজিত বা নয় সত্যপ্রিয়কে,
অথবা সত্যদার মতো কাউকে
যার চায়ের দোকান ছিল সায়েন্স কলেজে;
ভালো হয়, আসল সত্যকে পেলে খুঁজে।
অনেকে বলবে, “এই খেয়েছে,
এর স্ক্রু দেখছি ঢিলে হয়েছে”;
বলতেন হয়তো সুকুমার রায়,
“ন্যাড়া ক'বার
বেলতলায় যায় -
এর থেকে ভালো হোত জানা;
নাহয়, খুঁজলে আদ্যানাথের ঠিকানা” ।
তবুও ভাবো, চাও নাকি জানতে -
কোনটা যাবে, কোনটা থাকবে,
কী করলে ভবিষ্যতে হবে না পস্তাতে ;
পৌঁছে যাবে লক্ষ্যে কোন পথে পারলে চলতে;
কিম্বা, কার ল্যাজ ধরলে পরে পারবে ঠিক জিততে -
কোথায় যেন লেখা আছে, “সত্যমেব জয়তে” ।
কি বলো তোমরা তা'হলে?
খুঁজছি নাকি সত্যকে সকলে?